ইতিহাসঃ
১৯৮২ সালে ফরাসি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং সর্বপ্রথম বিশ্ব সঙ্গীত দিবস পালনের প্রস্তাব করেন। ১৯৮৫ সালের ২১ জুন প্রথম গোটা ইউরোপ এবং পরে সারা বিশ্ব এই সঙ্গীত দিবস পালন করে। এরপর থেকে দিনটি বিশ্ব সঙ্গীত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর প্রথম থেকেই আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দিবসটি পালন করে আসছে। সঙ্গীত প্রেমীদের কাছে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। বহু বছর ধরেই এই দিনে ঐতিহ্যবাহী মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে ফ্রান্স। এভাবে, ১৯৮২ সালে এসে এ ফেস্টিভ্যাল ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’-তে রূপ নেয়। ‘গান হতে হবে মুক্ত; সংশয়হীন’- এই স্লোগানকে সামনে রেখেই বিশ্বের ১১০টি দেশ যোগ দেয় এই আন্দোলনে। ১৯ বছরের পথপরিক্রমায় আন্তর্জাতিক মাত্রা পায় এটি। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, স্থানীয়ভাবে অথবা ফরাসি দূতাবাসের সহায়তায় জুনের ২১ তারিখে পালন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’। বাংলায় বিশ্ব সঙ্গীত দিবসকে ফরাসী ভাষায় বলে ফেট ডে লা মিউজিক ।
সূত্রঃ গুগল ও ফেসবুক।
আনন্দ-বেদনায়, সংকটে-উৎকণ্ঠায় আমাদের সঙ্গী হোক গানঃ
আনন্দের সময় হোক বা মন খারাপের সময়ই হোক গান মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। দৈনন্দিন জীবনের একঘেঁয়েমি কাটাতে গানের চেয়ে ভালো দাওয়াই আর নেই। বর্তমানে বিশেষজ্ঞরাও এই মিউজিক থেরাপিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা কমাতে গান উপকারী হিসেবে কাজ করে। গান শুনলে ঘুমও ভালো হয়। মানসিক রোগ সারানোর জন্য চিকিৎসকেরা গানের সাহায্য নেন।
শুধু তাই নয়, অনেক সময় এমন হয় যে পুরনো কোনও গান ভালো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। তবে শুধুই ভাল নয়, মনে করিয়ে দেয় খারাপ স্মৃতিও। কিন্তু গান সব সময়ই ভালো বন্ধুর মতো পাশে থাকতে পারে। এর পাশাপাশি, গান কিন্তু বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তিও শক্ত করে, মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। সঙ্গীত প্রেমীদের কাছে অবশ্য গানের জন্য আলাদা কোনও দিন বা সময় নেই। বরং গান ২৪ ঘণ্টার ৩৬৫ দিনের। তবে বিশেষ ভাবে দিনটিকে উদযাপনের জন্য নির্দিষ্ট একটি দিন রয়েছে। গানের জন্যই বিশেষ দিবস এই বিশ্ব সঙ্গীত দিবস ৷
সঙ্গীত আর সুর আমাদের বিষন্নতা কমায়। পৃথিবীতে অসংখ্য লোক বিষন্নতায় ভুগছে, এর মধ্যে বেশিরভাগের রয়েছে ঘুমের সমস্যা। ধ্রপদী সঙ্গীত মানুষের বিষন্নতা কাটিয়ে ঘুমাতে সহায়তা করে।
আপনার হার্ট কে সুস্থ রাখতে চাইলেও নিয়মিত গান শুনুন। কারণ ইউরোপের কিছু গবেষকের মতে গান শোনার মাধ্যমে আপনার মন ভালো থাকবে, যার ফলে আপনার দেহে এক ধরনের বায়োলজিকাল পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তের প্রবাহ সঠিক নিয়মে হবে আর আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে।
বনানী ঘোষ, খুলনা থেকে।
২১-০৬-২০২৩
Leave a Reply