1. admin@dainikalokbortika.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)
এই মাত্র পাওয়া
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)

নিরাপদ খাদ্যঃ উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থাপনা (চতুর্দশ অংশ, কৃষকের অংশীদারিত্ব-২)

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৪২ Time View

কৃষি পণ্য নিরাপদ করতে আমাদের কৃষি চর্চায় পরিবর্তন শুরু হয়েছে। কৃষি পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পরিবেশ এবং প্রতিবেশের কোন ক্ষতি করা যাবে না। আমাদের সীমিত কিন্তু অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ জমি এবং পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ সম্পদ টেকসই হিসেবে রেখে যেতে হবে। এক কথায় আমদের অর্থনীতির মূল ভিত্তি কৃষিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। কৃষকরাও জানে, জমির স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হবে। তা না হলে এক সময়ে আর উৎপাদন হবে না। উৎপাদন না হলে কৃষকের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না। আর আমরাও জানি, কৃষকের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে দেশের অবস্থাও ভালো থাকবে না, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে না, দেশে গভীর সংকট সৃষ্টি হবে। কথাগুলো হরহামেশা আমরা বলেও বেড়াই। বলার সময়  ‘কৃষি বান্ধব, ‘কৃষক বান্ধব’ আরো কত উপমাই না  জুড়ে দেই। শরীরের সমস্ত জোর গলায় এনে অনেক বড় গলায় বলি।  বলার ক্ষেত্রে যে জোর দিই তার প্রতিফলন যদি কাজের ক্ষেত্রেও দিই তাহলেই কৃষি ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনগুলো দৃশ্যমান হতে পারে। কৃষকের কাছে আমাদের চাওয়াগুলো যৌক্তিক হতে পারে।

কৃষকের কাছে আমাদের চাওয়ার যেন শেষ নেই। বছর বছর চাষের জমি কমে যাচ্ছে, ফি বছর মানুষ বাড়ছে, জ্বালানী খরচ বাড়ায় সেচের খরচ বাড়ছে, উপকরন খরচ বাড়ছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্ষেতের ফসল তছনছ দিচ্ছে, নিত্য নতুন বালাই সংক্রমন ঘটছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে চাষাবাদের ধরন বদলে যাচ্ছে, বাজার সিন্ডিকেটের কারনে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে কৃষক বঞ্চিত হচ্ছে। এরকম হাজারো সমস্যা মাথায় নিয়ে কৃষকরা নিরবে কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রেখে ১৬ কোটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। শুধু ছেড়া গেঞ্জি, ঘাড়ে গামছা, হাতে মাটির সানকিতে লবন লংকা দিয়ে জমির আইলে বসে পান্তা খাওয়া সেই কৃষক শত বছর ধরে সেই একইরকম থাকছে।

আমাদের কৃষির সকল বাস্তবতা আমরা জানি। সুস্থ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা চাই নিরাপদ কৃষি পণ্য। আমরা চাই কৃষকের উৎপাদিত পণ্য হবে রাসায়নিক মুক্ত, কীটনাশক মুক্ত, ভেজাল মুক্ত এবং জীবাণু মুক্ত। নিরাপদ কৃষি পণ্য পাওয়া এখন সময়ের দাবী। আমরা টাকা দিয়ে বিষ কিনে কেন খাব? সংগত কারনেই আমাদের ভয়, অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারে উৎপাদিত ফসলে নানান রকম ক্ষতিকর অপদ্রব্য যুক্ত হয়, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। তাই আমরা আমাদের রাসায়নিক কৃষিকে বদলে ফেলতে চাই। কৃষি চাষ ব্যবস্থাপনাকে নিরাপদ কৃষি পণ্য উৎপাদনের কৃষিতে রুপান্তরিত করতে চাই।

কৃষক কি চায়? টেকসই জীবিকায়ন চায়। ভালো ভাবে বাঁচতে চায়। চলমান আয়-ব্যায়ের কঠিন বাস্তবতায় একটু বেশী উৎপাদন চায়। আর বেশী উ ৎপাদনের জন্য প্রয়োজন বাড়তি রাসায়নিক সার ব্যবহার। কৃষকরা তাই মনে করেন এবং চর্চাও করেন। আমরা বলি, সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কৃষকরা একটু বেহিসাবি, তাঁরা অনুমানের ভিত্তিতে সার ব্যবহার করে থাকেন। ফলে তাঁরা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশী রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন। এটা ঠিক, একটু বেশীই ব্যবহার করেন। আসলে বেশী সার ব্যবহার অনেকটা বাধ্য হয়েই করেন। কারন চাষযোগ্য আবাদী জমি কমে যাওয়ায় জমির উপর চাপ বাড়ছে। এখন আর এক ফসলী জমি নেই, সবই দুই কিংবা তিন ফসলী এমনকি চার ফসলী। তাছাড়া দেখা যায় একই জমিতে কৃষক একই ফসল বছরের পর বছর চাষ করই যাচ্ছে। ফলে জমিতে অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি  এবং অনুপুষ্টি উপাদানের ঘাটতি তৈরী হচ্ছে। এই ঘাটতি পূরনের মাধ্যমে একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের জন্য কৃষকদের জমিতে অধিক সার প্রয়োগ করতে হচ্ছে।

আর এভাবে ক্রমাগত অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে জমি তার উর্বরতা হারিয়ে ফেলছে, উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। মাটিতে থাকা ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র উপকারী জীবাণুর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে জমিতে প্রয়োগ করা রাসায়নিক সার থেকে সবটুকু পুষ্টি  উপাদান গাছ গ্রহণ করতে পারছে না। প্রয়োগ করা সার থেকে পুরোপুরি পুষ্টি নিতে না পারার আরেকটি বড় কারন হল মাটিতে প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থের ঘটতি। জৈব পদার্থ হল মাটির প্রাণ। জৈব সার ব্যবহারের ফলে মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বাড়ে। জৈব পদার্থ যে অনুজীব তৈরী করে তা সারকে গাছের গ্রহণপোযোগী করে। সার দেয়ার পর তা যদি গাছের গ্রহণপোযোগী না হয় তাহলে সেটা হয় অপচয়, ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়ে, চাষাবাদে তাঁদের লোকসান গুনতে হয়। চুড়ান্ত ফলাফল হিসাবে জমি তার উর্বরতা এবং উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। শুধুমাত্র জমিতে রাসায়নিক সার বড়িয়ে মাটিকে উর্বর কিংবা উৎপাদনক্ষম করা যায় না। এটা নির্ভর করে মাটিতে কি পরিমান জৈব পদার্থ রয়েছে তার উপর।  আমাদের চাষের জমিতে জৈব পদার্থ গড়ে ২% এর কম, কোথাও কোথাও ১% এরও কম আছে অথচ থাকা দরকার ৩-৫%। জৈব পদার্থ কম থাকায় মাটির গঠন সঠিকভাবে হচ্ছে না। মাটিতে জৈব সার যোগ করার মাধ্যমে ভাল মাটি তৈরী করতে পারলেই ভাল ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

মাটিতে জৈব সার প্রয়োগের উপকারিতা কম-বেশি কৃষকরা এখন জানেন। তাই অনেক কৃষক নানান রকম জৈব সার যেমন খামারজাত সার, পচা গোবর, পচা গোমূত্র, কম্পোস্ট, ভার্মিকম্পোস্ট, ট্রইকোডারমা জৈব সার, অনুজীব সার ইত্যাদি তৈরী করে জমিতে ব্যবহার করছেন। কিছু কোম্পানীও জৈবসার বাজারজাত করছেন। কিন্তু সেগুলোর মান নিয়ে নানান প্রশ্ন রয়েছে। সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ অনুযায়ী পরীক্ষা নীরিক্ষা করেই জৈব সার বাজারজাত করার কথা। পরিক্ষা-নীরিক্ষার দুর্বলতার সুযোগে বাজারে নানান রকম ভেজাল জৈব সারের ছড়াছড়ি। চটকদার বিজ্ঞাপন এবং আকর্ষণীয় মোড়কের কারনে কৃষক সঠিক সার নির্বাচনে ভুল করে ফেলেন। আবার যারা জৈবসার উৎপাদনের সাথে জড়িত তাঁরা জৈব সার উৎপাদনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ না হওয়ায় অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও এগিয়ে আসছেন না। ফলে কৃষক তার চাহিদা অনুযায়ী জৈব সার না পাওয়ায় আগ্রহ থাকা সত্বেও ব্যবহার করতে পারছেন না।

(জৈব সার ব্যবহার বিষয়ে কৃষকের আগ্রহ-অনাগ্রহ, উৎপাদন এবং প্রাপ্যতা সমস্যা ও করনীয় নিয়ে লেখাটি চলমান থাকবে)

মোঃ মাকসুদুর রহমান

কৃষি উৎপাদন, সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ।

ই-মেইলঃ maksudurrahman1363@gmail.com

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

https://www.moralparenting.org/

Categories

© All rights reserved © 2023 দৈনিক আলোকবর্তিকা
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই