1. admin@dainikalokbortika.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)
এই মাত্র পাওয়া
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)

পরিবেশ ও দূর্যোগ: নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব মানুষের দুঃখ গাঁথা, শেষ পরিণতি!

  • Update Time : শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৮৪৬ Time View

আমাদের চারপাশে অবস্থান করা মাটি, পানি, বাযূ, সকল কিছুই এই পরিবেশের অন্তভূর্ক্ত। আর দূর্যোগ বলতে বুঝতে পারি স্বাভাবিক নিয়মের বাইরের কোন ঘটনা। পরিবেশের বিঘ্নতার সাথেই রয়েছে দূর্যোগের সম্পর্ক। পরিবেশকে তার নিয়মে চলতে না দিলে দূর্যোগের আগমন অবশ্যম্ভাবী। দূর্যোগের ঘনঘটা এবং ধ্বংসের লীলা জানার পর পরিবেশকে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করা মানুষ্য জাতির জন্য সাধারণ একটি বিষয়।

দূর্যোগ প্রধানত দুইটি।

১. মানবসৃষ্ট দূর্যোগ

২. প্রাকৃতিক দূর্যোগ

পরিবেশের প্রতি মানবের যাচ্ছেতাই ব্যবহারের পরে পরিবেশ তার বদলা নিতে প্রদর্শন করে এক ভয়ংকর রূপ। যাকে মানুষ নাম দিয়েছে, প্রাকৃতিক দূর্যোগ। আর এই প্রাকৃতিক দূর্যোগ জন্ম দেয় তথাকথিত মানবসৃষ্ট দূর্যোগের। আজ তেমনি একটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও দূর্যোগ কবলিত মানুষের জীবনের অনিশ্চিত পথরেখা দেখার চেষ্টা করবো।

নদীমাতৃক আমাদের এই বাংলাদেশে হাজারও নদী বহমান। কোনটা উত্তাল আবার কোনটা প্রায় মৃত। মানব সভ্যতার শুরু এই নদীকে ঘিরেই। পৃথিবীর হাজারো সভ্যতার মূল খুঁজতে গেলে চলে আসবে নদী ভিত্তিক জীবন ব্যবস্থা। বাণিজ্য থেকে সাধারণ জীবন সকল কিছুই গড়ে উঠে নদীকে ঘিরে। সেই শুরু থেকে এখন অবধি পৃথিবীর সকল মানুষ এই নদীগুলোর উপরেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নির্ভর করে বেঁচে আছে। কিন্তু নীরব ধারায় বহমান নদী কখনো উত্তাল হয়, তখন সে মেতে ওঠে দু’পাড়কে গ্রাস করার হিংস্র উল্লাসে।

মাটি দূষণ, বায়ূমন্ডলে কার্বন-ডাই- অক্সাইডের বৃদ্ধি,  নদীর পাড়ে  গাছ কমে যাওয়া, পানি দূষণ, নিয়মিত নদী খনন না করা, নদীর প্রবাহ পরিবর্তন করা সহ নানা কারণে প্রায় সকল নদী প্রতিবছরই ভাঙনের শিকার হয়। আর এই নদীর ভাঙা গড়ার মাঝেই সৃষ্টি হয় নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা। কিন্তু সেই আশা সবসময় বাস্তবে পরিণত হয় না। কখনো কখনো মুকুলেই ঝরে পড়ে একটি একটি স্বপ্ন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে গত চার দশকে প্রায় এক লাখ হেক্টর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের এই হিসাবকে নিছক ভূমির হিসাবে ধরলে ভুল হবে, কারণ নদীভাঙন মানে একটি পরিবারের মৃত্যু, একটি সমাজের মৃত্যু, হাজারও স্বপ্নের মৃত্যু । বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি আল মাহমুদ তাঁর ‘চোখ যখন অতীতাশ্রায়ী হয়’ কবিতায় নদী ভাঙনের জর্জরিত একটি পরিবারের গল্প তুলে ধরেছেন। কবিতাটিতে এক কিশোর তার মায়ের কান্না দেখে বলেছিল,

‘কাঁদলেন এমনভাবে যে অভিযোগহীন এমন রোদন ধ্বনি বহুকাল শুনিনি আমি’।

প্রকৃতপক্ষেই নদীভাঙনে সহায় সম্বলহীন অসহায় মানুষগুলো কখনো কারও কাছে অভিযোগ করতে পারে না। এই কান্নার জন্য কারও কাছে অভিযোগ করা যায় না। পরোক্ষভাবে কাউকে দায়ীও করা যায় না। নদী সামনে যা পায় তাই গিলতে শুরু করে। বাজার, দোকানপাট, মসজিদ, মন্দির, কোনো কিছুতেই তার ধরা-বাধা নেই। প্রতি বছরই এই নদী ভাঙনের ফলে প্রায় এক লাখ লোক ভূমিহীন হয়। শত একর জমির মালিকও নিমিষেই নিঃস্বের খাতায় নাম লেখায়। গৃহিণীর সামনে তিলে তিলে গড়ে তোলা সংসার যখন চোখের পলকেই শেষ হয় যায়, তখন সেই গৃহিণী বুক ভাঙা হাহাকার শোনারও কেউ থাকে না। প্রভুর ডাকে সারাদিন পাঁচবার যেই ঘরে আসা যাওয়া হতো, যখন দেখা যায় সেই ঘরটি আর নাই তখনও নিরবে কান্না ছাড়া কিছুই করার থাকে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটির চোখে তখন ধরা পড়ে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের চিত্র। যেই স্বপ্ন গুলো এতদিন বাসা বেঁধেছিল তার হঠাৎ ধ্বংস দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে উদাস দৃষ্টি দেয়া চোখে তখন একটু পানিও থাকে না। কিন্তু মানব মন আবারো নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে।

সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য এদের মধ্যে বেশিরভাগই নতুন গন্তব্যের জন্য শহরের পথ ধরে। শহরের লাল নীল আলোতে রাতের আঁধার দূর হলেও এই অসহায়দের আর শহর চোখে দেখতে পায় না । অসহায় মানুষ গুলো প্রচন্ড অন্ধকারের তীব্রতায় আলোর নাগাল পায় না। কারণ এই শহরের প্রতিটি পদক্ষেপে আছে স্বার্থপরতার সুর। সেই সুরের সঙ্গী হওয়া এদের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় । শহরে আসা এই পরিবারটির প্রথমেই আশ্রয় হয় কোনো রেলস্টেশনে বা ফ্লাইওভারের নিচে। ভাগ্য যদি একটু সহায় হয় তাহলে কারও হয়তো বা মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই কোন এক বস্তিতে হয়ে যায়। থাকার পর এখন প্রয়োজন দুবেলার দু মুঠো খাবার। কিন্তু যে শহরে এক গ্লাস পানি খেতেও টাকা লাগে, সেই শহরে পেট ভরে খাওয়া আর ঘরে বসে চাঁদ দেখা তো এক কথা নয়। এখন প্রয়োজন কাজ খোঁজা। কিন্তু স্বার্থের এই শহরে একটা কাজ তো সোনার হরিণ সমতুল্য। এই সোনার হরিণের দেখা পাওয়া সহজ কথা নয়। কিন্তু পেট তো সেই অবধি অপেক্ষা করতে চায় না। তাকে প্রতিদিন তিন বেলা খাবার দিতে হয়।

কবি রফিক আজাদের কথা এখন আবারও স্মরণ হয়, তাঁর সেই বিখ্যাত কবিতাংশ

‘ভাত দে হারামজাদা, না হলে মানচিত্র চিবিয়ে খাব’।

সত্যিকার অর্থেই এই মানুষগুলো যখন বাঁচার জন্য কোনো কাজ খুঁজে পায় না তখনি অজানা পথের দিকে পা বাড়ায়। পথের ভয়াবহতা মৃত্যু পর্যন্ত জানলেও পেটের ক্ষুধার কাছে তখন সবকিছুই তুচ্ছ। এই অসহায় মানুষগুলো বাধ্য হয়ে অপরাধ জগতে পা বাড়ায়। নদীর বুকে সারাদিন সাঁতার কেটে বেড়ানো দুরন্ত স্বভাবের ছেলেটার হাতে তখন অস্ত্র উঠে যায়। ছোট-খাটো বিষয় দিয়ে অপরাধ জগৎ শুরু হলেও এক সময় তা বিরাট আকার ধারণ করে। প্রমথ চৌধুরীর সেই কথা ব্যধিই সংক্রামকের মতো পুরো সমাজে অপরাধের ডাল পালা গড়ে উঠে। মাদক, রাহাজানি, পরকীয়ার এক একটি আঁখড়া হয়ে ওঠে এই বস্তিগুলো।

নদী ভাঙ্গনে স্বর্বশান্ত মানুষগুলোর অসহায়ত্বের সুযোগে উঁচু তলার মানুষও এদের ব্যবহার করা শুরু করে। সামান্য কয়েকটা টাকার লোভে মিছিলে ককটেল ফাটানো, গাড়িতে পেট্রোল নিক্ষেপের কাজগুলো এদের দিয়েই করানো হয়। মাদকসন্ত্রাসী, পিকেটার হিসেবে এরাই আবার জেলহাজত খাটে। উঁচুতলার সাধুরা সাধুই থাকে। আর এভাবেই এটি সমাজে অপরাধ প্রবণতা বিস্তার করে। সমাজের শ্রেণী বৈষম্য দিনকে দিন বৃদ্ধি পায়। এসব ঘটনা এখন নিত্যকার ঘটনা, প্রতি মাসের ঘটনা, প্রতি বছরের ঘটনা। কিন্তু এই সকল সমস্যাগুলো কখনো এভাবে লেখার দরকার হতোনা যদি না সেইদিন তাদের ঘরটা নদীতে নিয়ে না যেত। অর্থাৎ প্রথমেই যদি নদীভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যেত তাহলে এই মানুষ শহরে আসত না, অপরাধগুলোও সংগঠিত হতো না। এই ভূমিহীন মানুষগুলো অজ্ঞতার এবং অশিক্ষার ফলেও অন্যায় কাজে নিজেকে সঁপে দেয়। প্রতিবছরই দেশে নদীভাঙনের সময় হাজারও স্বপ্ন ভাঙনের কবলে পড়ে। মায়ের কান্নায় ভারী হয় আকাশ-বাতাস; কিন্তু কান্নার অভিযোগ শোনার কেউ থাকে না।

কিন্তু এভাবে আর কত দিন?

এখন সময় এসেছে নতুন করে ভাবার। আবারো সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। নদী ভাঙন রোধকল্পে টেকসই বেড়িবাধ সহ, নদীশাসন, ড্রেজিংসহ সবধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সকলকে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে।

এ’তো সম্পন্ন হলো নদীর সাথে প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট দূর্যোগের সম্পর্ক। এমনিভাবে পরিবেশে সকল উপাদানেকে বিশ্লেষণ করলেই পাব এমনও হাজারো সম্পর্ক। যে সম্পর্ক গুলোর মধ্য দিয়েই রচিত হয় মানবজীবনের এক একটি উপাখ্যান। তাই পরিবেশের প্রতিটি উপাদানকে পরম মমতায় গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবি। পরিবেশের সাথে বিরূপ আচরণ করলে পরিবেশও প্রকাশ করবে তার বিরূপ আচরণ। তাই এর জন্য শুধু প্রশাসন নয়, আমাদের সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাহলে হয়তো পেয়ে যাব নির্মল এক বাংলাদেশ।

মোঃ আফসারুল আলম মামুন

৪র্থ বর্ষ, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

মোবাইলঃ ০১৯৩৪৬২৪৪২৮

Email: afsarulmamun3061998@gmail.com

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

https://www.moralparenting.org/

Categories

© All rights reserved © 2023 দৈনিক আলোকবর্তিকা
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই