ডা. আফতাব হোসেন:
গতকাল ছিল ১৪ নভেম্বর, বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্যানুযায়ী এই মুহূর্তে বিশ্বে ডায়াবেটিস রুগীর সংখ্যা ৫৩ কোটির অধিক। অর্থাৎ প্রায় প্রতি দশজন মানুষের একজন ডায়াবেটিসে ভুগছে। বছরে ১৫ লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি এই রোগে মৃত্যুবরণ করে। এ ছাড়াও ডায়াবেটিসের জন্য হার্ট এটাক, স্ট্রোক, অন্ধত্ব, কিডনি ফেইলিউর, পা কেটে ফেলা, ইত্যাদি তো আছেই।
সব যুগে, সব দেশেই সাধারণ মানুষ রোগব্যাধি নিয়ে নানা রকম কুসংস্কার কিংবা ভ্রান্ত ধারণায় ভোগে। ডায়াবেটিসও তার ব্যতিক্রম নয়। ডায়াবেটিস নিয়ে প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আজ আলোচনা করব ও নিরসনের চেষ্টা করব। তার আগে সংক্ষেপে জেনে নিই, ডায়াবেটিস কী এবং কেন?
আমরা প্রতিদিন যে শর্করা জাতীয় খাবার খাই, তা খাদ্যনালী থেকে গ্লুকোজ হিসেবে রক্তে প্রবেশ করে। প্যানক্রিয়াস থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন নামের হরমোন সেই গ্লুকোজ রক্ত থেকে লিভার, মাংসপেশি ও ফ্যাট সেলে ঢুকিয়ে দেয়। সেলের ভেতরে সেই গ্লুকোজ শরীরে শক্তির জন্য ক্যালরি তৈরির কাজে লাগে কিংবা ভবিষ্যতের জন্য জমা থাকে। এই ভাবে আমাদেরর রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য রক্ষা হয়। কোনো কারণে যদি প্যানক্রিয়াস ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম হয় ( Type 1 Diabetes), কিংবা পর্যাপ্ত ইনসুলিন নিঃসরণ না করে কিংবা সেই ইনসুলিন যদি ফ্যাট সেলের উপর কাজ করতে অক্ষম হয় (Type 2 Diabetes) তাহলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। তাকেই ডায়াবেটিস বলে। Type 1 Diabetes শিশু বয়সে এবং Type 2 Dayabetes সাধারণত পরিণত বয়সে দেখা দেয়। ডায়াবেটিস একটি দুরারোগ্য ব্যাধি যা কোনোদিন নিরাময় হয় না, তবে সঠিক চিকিৎসা ও জীবন পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়াও আছে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes) যা অনেক মায়েদের গর্ভকালে দেখা দেয়।
এখন দেখা যাক, ডায়াবেটিস নিয়ে আমাদের সমাজে কী কী ভ্রান্ত ধারণা আছে এবং তার সত্যতা কতটুকু?
১। ডায়াবেটিস তো বংশীয় রোগ। আমার বংশে কারও ডায়াবেটিস ছিল না, সুতরাং আমারও হবে না কিংবা আমার হবে কেন?
সত্যতা: প্রথমত ডায়াবেটিস বংশীয় রোগ নয়। তবে যাদের বংশে ডায়াবেটিস আছে তাদের Type 2 Diabetes হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তার মানে এই নয় যে যাদের বংশে ডায়াবেটিস আছে, তাদের সবার ডায়াবেটিস হবে কিংবা যাদের নেই, তাদের কোনোদিন হবে না। সুতরাং পঞ্চাশোর্ধ সকলেরই নিয়মিত (অন্তত বছরে দুই বার) ব্লাড সুগার চেক করা উচিৎ।
২। মোটা মানুষের ডায়াবেটিস হয়। আমি তো মোটা না, আমার ডায়াবেটিসও হবে না।
সত্যতা: ভুল। এটা ঠিক, মোটা মানুষের ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তার মানে এই নয় যে, সব মোটা মানুষেরই ডায়াবেটিস হবে কিংবা শুকনা পটকাদের কখনই ডায়াবেটিস হবে না। তবে মোটা মানুষদের খুশি হবারও কোনো কারণ নেই। সব মোটাদের ডায়াবেটিস না হলেও হাই ব্লাড প্রেশার সহ অন্যান্য রোগ হতে পারে।
৩। আমার তো ঘনঘন পেশাব হয় না, আমার ডায়াবেটিস নাই।
সত্যতা: ভুল। যদিও ঘনঘন পিপাসা লাগা ও পেশাব হওয়া, দুর্বল লাগা, ওজন কমে যাওয়া, ইত্যাদি ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণ, তবুও এই সব লক্ষণ ছাড়াও আপনার ডায়াবেটিস থাকতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি মধ্য বয়সী হন ও আপনার ওজন বেশি হয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনেক মানুষের অন্য রোগের চেক আপের সময় কিংবা রুটিন চেক আপের সময় ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে। অর্থাৎ তারা জানেই না, কতদিন ধরে তারা ডায়াবেটিসে ভুগছে। ডায়াবেটিস হল ঘুণে পোকার মতো, যখন ফার্নিচারে প্রবেশ করে, তখন উলটে পালটে না দেখলে বোঝা যায় না। আর যখন বোঝা যায়, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। তখন সেই ফার্নিচার জ্বালানী কাঠ হিসেবে ব্যাবহার করা ছাড়া আর কোনো কাজে লাগে না। ডায়াবেটিসও মানুষের শরীরের রক্তনালী, হার্ট, ব্রেইন, চোখ, কিডনি, নার্ভ, আস্তে আস্তে ধ্বংস করতে থাকে, অথচ মানুষ টের পায় না। যখন টের পায়, ততদিনে একটা হার্ট এটাক কিংবা স্ট্রোক হয়ে যায়। চোখ প্রায় অন্ধ হয়ে যায় কিংবা কিডনির বারোটা বেজে যায়। তাই দীর্ঘ সুস্থ জীবনের জন্য সঠিক সময়ে ডায়াগনোসিস ও রক্তে গ্লুকোজের সঠিক নিয়ন্ত্রণ খুব জরুরী।
৪। আমার ব্লাড সুগার (FBS – Fasting Blood Sugar) ১০ – ১২। আমার ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে আছে।
সত্যতা: ভুল। নন-ডায়াবেটিক মানুষের ফাস্টিং ব্লাড সুগার সাধারণত ৬ এর নীচে থাকে। তার প্রায় দ্বিগুণ ব্লাড সুগার নিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার কোনো কারণ নেই। এটা এই জন্য হয় যে ১০/১২ ব্লাড সুগার নিয়ে তাদের কোনো লক্ষণ থাকে না, তাই তারা মনে করে, তারা ভালো আছে। আসলে রক্তে ঐ পরিমাণ সুগার আপনা যা ক্ষতি করার, তা করতেই থাকবে, অথচ আপনি টের পাবেন না! মনে রাখবেন, আপনার রক্তে সুগারের পরিমাণ যতটা স্বাভাবিক মানুষের কাছাকাছি থাকবে, আপনার হার্ট, ব্রেইন, চোখ, কিডনির ইত্যাদি ততটাই স্বাভাবিক থাকবে।
৫। আমার নতুন ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে, তাই কার্বোহাইড্রেট (শর্করা) জাতীয় খাবার একেবারে ছেড়ে দিয়েছি। আমার ওজনও কমেছে।
সত্যতা: ভুল করেছেন। এই কাজটা অনেক অতি উৎসাহী নতুন ডায়াবেটিকরা করেন। বিশেষ করে ইউটিউবে কিটো ডায়েটের বিজ্ঞাপন দেখে। আপনার ডায়াবেটিস থাকুক বা না থাকুক, আপনার স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য ব্যলেন্সড ডায়েট খুবই জরুরী। আর ব্যালেন্সড ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট খুবই প্রয়োজনীয় উপকরণ। আপনি যেহেতু কার্বোহাইড্রেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, আপনার শরীর মাংসপেশির প্রোটিন ভেঙ্গে কার্বোহাইড্রেট তৈরি করছে। তাই আপনার শরীর ভাঙ্গছে ও ওজন কমছে। ওজন যদি কমাতেই চান, তাহলে ব্যালেন্সড খাবার খেয়ে ব্যায়াম করে ওজন কমাতে হবে।
৬। আমার ডায়াবেটিস। ভাত খাই না, খালি রুটি খাই।
সত্যতা: ভাত খান আর রুটিই খান, আপনি তো কার্বোহাইড্রেটই খাচ্ছেন। ভাত ছেড়ে এক বেলায় তিন চার খানা রুটি খাইয়া কী লাভ? তাও আবার ফাইন সাদা আটার রুটি ! আপনাকে ফাইবার জাতীয় কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে যা হজম হতে সময় লাগে। ফলে গ্লুকোজ আস্তে আস্তে রক্তে প্রবেশ করে। আপনাকে দিনে তিন বেলার পরিবর্তে পাঁচ বেলা ছোট ছোট মিল খেতে হবে। একটা বুড়ো গাধার পিঠে একসাথে পাঁচ মন ওজন চাপিয়ে দিলে যেমন সে বইতে পারবে না, আপনার দুর্বল প্যানক্রিয়াসও তেমন একবারে দুই থালা ভাত কিংবা চারখানা রুটির গ্লুকোজ লোড নিতে পারবে না এবং পর্যাপ্ত ইনসুলিনও নিঃসরণ করতে পারবে না। সুতরাং প্যানক্রিয়াসের উপরে চাপ কমাতে দিনে পাঁচবার ছোট ছোট মিল খান। সেই সব মিল কী হবে, আপনার ডায়েটেসিয়ান বুঝিয়ে দেবে কিংবা নেট থেকে ডায়াবেটিক খাবারের চার্ট নামিয়ে নিতে পারেন।
৭। আমার ডায়াবেটিস। তাই প্রায়ই ফার্মেসীতে কিংবা ফুটপাতে ব্লাড সুগার মাপাই।
সত্যতা: ভুল করেন। বাজারে, ফার্মেসীতে কিংবা ফুটপাতে যে সব মেশিনে ব্লাড সুগার মাপা হয়, সেই সব মেশিনের মান অধিকাংশেই ভালো নয়। তাই সঠিক রিপোর্টও দেয় না। বিশ্বাস না হয়, একই সময়ে বিভিন্ন মেশিনে রক্ত পরীক্ষা করে দেখুন, এক একটায় এক এক রিপোর্ট দেবে। আপনি যদি ইনসুলিন না নেন, তাহলে প্রতিদিন ব্লাড সুগার মাপার দরকার নাই। বরং HbA1C নামে একটা ব্লাড টেস্ট আছে, যা আপনাকে গত তিন মাসের ব্লাড সুগারের গড় বলে দেবে। আপনি বুঝতে পারবেন, গত তিন মাসে আপনার ব্লাড সুগার কেমন কন্ট্রোলে ছিল। বছরে দুবার করলেই যথেষ্ট। আর যদি আপনি ইনসুলিন নেন, তাহলে আপনার নিজের মেশিন থাকা জরুরী। কারণ প্রতিদিনই আপনার ইনসুলিন নেয়ার আগে ব্লাড সুগার মাপা উচিৎ। আর সেটা একই মেশিনে হলে রিপোর্টে রকমফের হবে না।
৮। ডায়াবেটিস হলে ব্লাড সুগার চেক করলেই হয়, অন্যান্য ব্লাড টেস্টের কী দরকার?
সত্যতা: অবশ্যই দরকার আছে। হার্ট এটাক, স্ট্রোক, কিডনি ফেইলিওরের জন্য যেমন হাই ব্লাড সুগার একটা রিস্ক ফ্যাক্টর, তেমনই রক্তের কোলেস্টেরল (চর্বির পরিমাণ), হাই ব্লাড প্রেশার, ধূমপান, ইত্যাদিও রিস্ক ফ্যাক্টর। তাই আপনাকে নিয়মিত রক্তে লিপিড প্রোফাইল দেখতে হবে ও কন্ট্রোলে রাখতে হবে। ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে। ডায়াবেটিস আপনার কিডনির কতটা ক্ষতি করল, তা জানার জন্য নিয়মিত কিডনি ফাংশন টেস্টও করতে হবে।
৯। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর থেকে প্রতিদিন সকালে হাঁটি।
সত্যতা: খুব ভালো কথা। প্রতিদিন সকালে আমিও হাঁটি। আর হাঁটতে হাঁটতে দেখি, মধ্যবয়সী থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষেরা দল বেঁধে গদাই লস্করি চালে হেলে-দুলে হাঁটছেন। হাঁটতে হাঁটতে গল্প করছেন। দশ মিনিট হেঁটে গলির মোড়ে কিংবা বাজারে চায়ের দোকানের সামনে, টুলে কিংবা চেয়ার পেতে আধা ঘণ্টা জমিয়ে আড্ডা মারছেন। আড্ডা মারতে মারতে ডিম, কলা ও চা বিস্কুট খাচ্ছেন। খেতে খেতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, কিংবা পরী মনির লুঙ্গি ড্যান্স কিংবা দেশের সব রাজা উজির মারছেন। তারপর সন্তুষ্ট চিত্তে হেলে দুলে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এই হাঁটার চাইতে না হাঁটাই ভালো। কারণ ঐটুকু হেঁটে যে ক্যালরি খরচ করলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি ঘরের মানুষকে লুকিয়ে খেয়ে নিলেন। মনে রাখবেন, ডায়াবেটিস হলে প্রতিদিন কমপক্ষে আধাঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। আর বৃদ্ধ বয়সে হাঁটা অবশ্যই একটা ভালো ব্যায়াম। তবে সেই সেই হাঁটা হতে হবে আধা ঘণ্টা দ্রুত লয়ে (Brisk Walking). যে হাঁটা হাঁটতে যেয়ে আপনি কথা তো বলতে পারবেন, কিন্তু গান গাইতে পারবেন না। অর্থাৎ, হাঁটতে যেয়ে আপনার শ্বাস প্রশ্বাস ঘন হয়ে যাবে, নাড়ির গতি বেড়ে যাবে এবং হালকা ঘাম বের হবে।
১০। শুনেছি ইনসুলিন নেয়া ঠিক না।
সত্যতা: ভুল শুনেছেন। আপনি যদি Type 1 Diabetic হন, তাহলে তো প্রথম থেকেই ইনসুলিন নিতে হবে। আর যদি আপনি Type 2 Diabetic হন, তাহলে দেখা যাবে, একসময় আপনার প্যানক্রিয়াস এতটাই ক্লান্ত হয়ে গেছে যে, মুখে ওষুধ খাওয়ার পরও পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারছে না, সে ক্ষেত্রে আপনার ডাক্তার ইনসুলিন প্রেস্ক্রাইব করবে। এই ইনসুলিনই একসময় আপনার শরীরে তৈরি হত। মনে রাখবেন, ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের জন্য ইনসুলিনই হল সর্বোত্তম উপায়।
১১। ইনসুলিন তো নিচ্ছি, কিন্তু ব্লাড সুগার কন্ট্রোল হচ্ছে না!
সত্যতা: কোথাও ভুল হচ্ছে। ইনসুলিন নিলে ব্লাড সুগার কন্ট্রোল না হওয়ার কোনো কারণ নেই। এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে, হয় আপনি সঠিক ডোজে ইনসুলিন নিচ্ছেন না কিংবা আপনি ইনসুলিন সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করছেন না। প্রতিদিন সকালে ইনসুলিন নেয়ার আগে ব্লাড সুগার মেপে নিন। আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন, ব্লাড সুগার কত থাকলে কত ইউনিট ইনসুলিন নিতে হবে। ইনসুলিনও বিভিন্ন প্রকার আছে। শর্ট এক্টিং, ইন্টারমিডিয়েট এক্টিং, লং এক্টিং। এক একটার এক এক রকম ডোজ। যে ডাক্তার সাহেবকে আপনি পয়সা দিয়ে দেখাচ্ছেন, তাঁর কাছ থেকে ভালো করে বুঝে নিন। শুধু প্রেসক্রিপশন নিয়ে চলে আসবেন না। সর্বোপরি, ইনসুলিন একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তা না করলে এর কার্যক্ষমতা কমে যায় কিংবা পুরা নষ্ট হয়ে যায়। ওষুধের গায়ে লেখা থাকে, কত তাপমাত্রায় রাখতে হবে। সেই তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। নইলে ইনসুলিন নেয়া ও পানি নেয়া সমান হয়ে যাবে।
১২। একবার ডায়াবেটিস হওয়া মানেই সব শেষ!
সত্যতাঃ ভুল। অনেকেই ডায়াবেটিস হলে মূষরে পড়েন, তাদের জীবনের সব আনন্দ চলে যায়, বিষণ্ণতায় ভোগেন। এটা ঠিক না। সঠিক চিকিৎসা, নিয়মিত ব্যায়াম ও পরিমিত খাবার খেলে প্রায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়। আপনি কি জানেন? বিশ্বের অন্যতম ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরামের ক্রিকেট খেলা অবস্থায় ডায়াবেটিস ডায়াগনোসিস হয়েছিল। তিনি তো নিয়মিত ইনসুলিন নিয়ে তারপরও বহু বছর ক্রিকেট খেলে গেছেন এবং এখনো যে কোনো সমবয়সী মানুষের চাইতে সুস্থ সবল আছেন। সুতরাং ডায়াবেটিস হওয়া মানেই সব শেষ নয়, শুধু জীবন যাপনে একটু পরিবর্তন আনতে হয়।
উপরে আমাদের দেশে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আলোচনা করলাম। এর বাইরেও যদি কারও কোনো প্রশ্ন থাকে, কমেন্ট বক্সে লিখে জানান। উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
বিদ্রঃ এটা একটা স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক পোস্ট। বেশি বেশি শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Leave a Reply