The mesencephalon, also known as the midbrain, is a part of the brainstem located between the diencephalon (which includes the thalamus and hypothalamus) and the pons. It is one of the three primary vesicles that form during early embryonic development, the other two being the prosencephalon (forebrain) and rhombencephalon (hindbrain).
The midbrain plays a crucial role in various functions, including the regulation of motor movements, visual and auditory processing, and the sleep-wake cycle. It contains important structures such as the tectum, which includes the superior and inferior colliculi involved in visual and auditory reflexes, and the tegmentum, which is associated with motor control and other sensory functions.
Additionally, the midbrain is part of the brain's reticular activating system (RAS), which is involved in regulating consciousness and alertness. It serves as a pathway for nerve fibers traveling between different regions of the central nervous system.
Overall, the mesencephalon is a vital component of the brain, contributing to various sensory and motor functions as well as playing a role in maintaining overall brain function and awareness.
আজ জোর করেই মধ্য মস্তিষ্কে প্রবেশ করলাম কারন অগ্র মস্তিষ্কের যাবতীয় গঠন প্রণালী ও কার্যক্রম নিয়ে লেখা শেষ হবার নয়। অতশত বোঝার জ্ঞানেরও ঘাটতি আছে তাই এক লাফে মধ্য মস্তিষ্ক নিয়ে লেখাপড়া করতে বসলাম। এটি আসলে পশ্চাত মস্তিষ্কেরই একটা অংশ, এর পিছনে অবস্থিত নলাকৃতি বৃহৎ অংশের নাম পনস, এটি সেরিবেলাম ও মেডুলা অব ল্যাংগাটার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। উপরে আমরা দেখেছি বিভিন্ন পেশীর কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা ও ভারসম্য রক্ষা করা মধ্য মস্তিষ্কের অন্যতম প্রধান কাজ।
সে প্রেক্ষিতে আমরা কি বলতে পারি মধ্য মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হলে আমাদের মস্তিষ্ক বিকৃতি বা দেহের ভারসাম্যহীনতা ঘটতে পারে? আমি নিশ্চিত নই তবে আমার খুব ঘনিষ্ট এক বন্ধুর এক বিরল অসুখ দেখা দিয়েছিলো। তাঁর হঠাৎ করে মনে হতো মাথার পিছন দিকে কেউ ঠুয়ো মারছে বা ধাক্কা দিচ্ছে এবং সে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে যাচ্ছে! কিছুতেই তাঁকে বোঝাতে পারতাম না বাস্তবে এমন কিছুই ঘটছে না, সব কিছুই স্বাভাবিক রয়েছে। এমনতর পরিস্থিতিতে দেশের সব বড় বড় নিউরো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও ঔষধ সেবন করেও কোন গতি হলো না দেখে ভারতের চেন্নাইয়ের ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মিশনারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে এখন সে বেশ সুস্থ হয়ে উঠেছে। তাঁর এই অদ্ভূত সমস্যার কারনে চাকুরী ও পারিবারিক জীবনে খুবই অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিলো।
আমি আগের পর্বগুলোতেও উল্লেখ করেছি আমার কাছে মানবদেহ এক আশ্চর্য কারখানা! এই কারখানার প্রতিটি যন্ত্র নিয়ে আমরা জন্ম থেকে প্রতিনিয়ত চলছি বিধায় আমাদের কাছে তা খুব বেশি বিস্ময়ের কারন হিসেবে ধরা দেয় না। শুধুমাত্র অসুখ বিসুখে কোন অঙ্গ যখন বিকল হয়ে পড়ে তখুনি শুধু এই মহাবিজ্ঞানের মহাগুরুত্ব আমরা অনুধাবন করতে পারি। এই তো ফেসবুকে একটি ভিডিওতে দেখছিলাম যশোরের একটি মেয়ে দুই হাত বিহীন এবং মাত্র একটি পা নিয়ে জন্ম নেয়। তাঁর বাবা-মাকে সেকারনে পরিবার থেকে বিতাড়িত করা হয়! সেই দুই হাত বিহীন আর এক পা ওয়ালা মেয়েটির মস্তিষ্কে কিন্তু কোন খুত নেই, সে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী, বর্তমানে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত! বাবা ও মায়ের প্রচেষ্টায় আজ মেয়েটি সর্বোচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে এবং একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে।
তাই আমরা বলতেই পারি চোখ, হাত, পা, নাক, কান ইত্যাদি অঙ্গহীন হয়েও যদি মস্তিষ্ক সচল থাকে তাহলেও মানুষ যেকোন বিষয়ে শ্রেষ্টত্ব অর্জন করতে পারে আবার নেতিবাচক বিষয়ের দিক থেকেও কুখ্যাত হতে পারে। এজন্যই মস্তিষ্ককে কোনভাবেই নেতিবাচক পথে পরিচালিত করার সুযোগ নেই, এই মস্তিষ্কে সমগ্র প্রাণী জগতের মধ্যে বুদ্ধিমত্তার শ্রেষ্টত্ব রয়েছে। তাকে শুধুমাত্র মানুষ ও অন্যান্য সৃষ্টির কল্যানে যারা ব্যবহার করেন তাঁরাই পৃথিবীতে স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবেন অনাদিকাল ধরে।
(চলবে————————)
পল্লব খন্দকার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩।
সংকলন: দৈনিক আলোকবর্তিকা।