1. admin@dainikalokbortika.com : admin :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)
এই মাত্র পাওয়া
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)

সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব)

  • Update Time : সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৭২ Time View

কণ্ঠ শিল্পী হায়দার হুসেইন এর জনপ্রিয় একটি গানের কথাগুলোর বাস্তবতা আমাদের প্রজন্মের নিরপেক্ষ মনোভাবের জনতার কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য প্রশ্ন হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছিলো। কি দেখার কথা কি দেখছি? কি শোনার কথা কি শুনছি? কি ভাবার কথা কি ভাবছি? কি বলার কথা কি বলছি? তিরিশ বছর পরেও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি।”

ঠিক তাই। আওয়ামী লীগ বনাম এন্টি আওয়ামী লীগ সমর্থকদের যার যার নিজস্ব বয়ান আমাদের মতো নিরপেক্ষ ও যুক্তিবাদী মানুষদের জন্য চূড়ান্ত মাত্রায় অসহ্য হয়ে উঠছিলো স্বাধীনতার মাত্র চার বছরের মাথাতেই! বোঝাই যাচ্ছে তিরিশ বছর পেরিয়ে এসে একটি স্বাধীন দেশে কোন কিছুই কেনো মীমাংসিত নয় এমন উপলব্ধি থেকে শিল্পী হায়দার হুসেইন গানটি লেখেন ও নিজের কন্ঠেই রেকর্ড করে প্রচার করেন। জাতির জন্য স্থায়ী এসব বিভেদ শুধু হিংসা, বিদ্বেষ আর অতীতের পানে ছুটতে ছুটতে ভবিষ্যৎকে অন্ধকারের দিকে ধাবিত করা ছাড়া অন্য কোন অর্জন আমরা দেখার সুযোগ পাইনি।

১৯৯১ সাল থেকে খালেদা জিয়ার প্রথম জামানায় একতরফাভাবে সকল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নাম প্রচারিত হতে থাকলো। মীর শওকত আলী, বীর উত্তম তথ্য দিলেন চট্টগ্রামে সেনানিবাসে ড্রামের উপর দাঁড়িয়ে নাকি জিয়া প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, এরপর কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে রেডিওতে প্রচার করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাটি। মীর শওকত আলী ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিবাহিনীর একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তাঁর মতো একজন সমর নায়ক ও বীর উত্তম মুক্তিযোদ্ধার কথা আপনি কিভাবে অগ্রাহ্য করবেন? 

খুবই ভালো কথা, জিয়ার এক ঘোষণায় স্বাধীনতা যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেলো, দেশ স্বাধীন হয়ে গেলো। কিন্তু পাকিস্থানের জেলে দীর্ঘ নয় মাস আঁটকে থাকা শেখ মুজিবুর রহমান কেনো দেশে ফিরে এসে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারলেন? খালেদা জিয়ার সরকার যেভাবে প্রচার করেছেন যে বাংলাদেশ মানেই জিয়া জিয়া জিয়া, তার আগেও কিছু নেই, পরেও কিছু নেই। দেশের আপামর জনসাধারণকে এমনটাই বেকুব বানানোর হাজারো বয়ান ও কূট কৌশলে জাতিকে বিভক্ত রাখাই ছিলো আমাদের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের একমাত্র উদ্দেশ্য।

তাই খালেদা জিয়ার দেখানো পথে হাঁটতে এক মূহুর্ত বিলম্ব করলো না হাসিনার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকার। এবার বিটিভি বা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অন্যান্য গণমাধ্যমে জিয়ার নাম মুছে ফেলা হলো, সম্ভবত ৭ নভেম্বরের সরকারী ছুটি ও রাস্ট্রীয় অনুষ্ঠান বাতিল করা হলো। চারিদিকে শুধু মুজিব মুজিব মুজিব, ইতিহাসে মুজিবের আগেও কেউ নেই পরেও কেউ নেই, এদেশের একক মালিক শেখ মুজিবের পরিবার ও আওয়ামী লীগ! ৫২, ৬২, ৬৯, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সবকিছুই শেখ মুজিবময়, এ দেশের সাধারণ মানুষের কোথাও কোন অবদান নেই। আওয়ামী ভিন্ন মতালম্বীদের স্বাধীনতা বিরোধী বা রাজাকার, একাত্তরের দালাল ইত্যাদি ট্যাগে ভূষিত করা হতে থাকলো।

তবে খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে শহীদ জননী নামে খ্যাত জাহানারা ইমাম অধ্যাপক গোলাম আজমের একাত্তর সালে পাকিস্থানের পক্ষ নেয়া এবং গণহত্যায় ভূমিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবীতে একটা জনপ্রিয় আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে। তিনি হন এর আহ্বায়ক। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী প্রতিরোধ মঞ্চ, ১৪টি ছাত্র সংগঠন, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক জোট, শ্রমিক-কৃষক-নারী এবং সাংস্কৃতিক জোটসহ ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে পরবর্তীতে ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়। এই কমিটি ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ গণ আদালত এর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী ময়দানে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার অনুষ্ঠান করে। গণ আদালতে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দশটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপিত হয়। ১২ জন বিচারক সমন্বয়ে গঠিত গণ আদালতের চেয়ারম্যান জাহানারা ইমাম গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য বলে ঘোষণা করেন।

জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনটি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঘাদানিকের এই আন্দোলন ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের রাস্ট্র শাসনের প্রতি আমাদের প্রজন্মের অনেক মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা নেতিবাচক মনোভাবকে ইতিবাচক দিকে ধাবিত করতে এবং ১৯৯৬ তে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে সহায়তা করে। এছাড়া আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইসতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট শেখ মুজিব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত খুনীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়। সংবিধানের কুখ্যাত ইনডেমিনিটি আইনটি বাতিল করা হয় এবং শেখ মুজিবের স্বঘোষিত খুনীদের বিচারের পথ উন্মুক্ত করা হয়। এই উদ্যোগটি নেয়া অবশ্যই আওয়ামী লীগের জন্য প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। বলতে গেলে শেখ মুজিবের আত্মস্বীকৃত খুনিদের কট্টর কিছু সমর্থক ছাড়া দেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে সমর্থন দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ সরকারকে। কেননা যে প্রেক্ষাপটেই হোক দেশের স্বাধীনতার স্থপতিকে সপরিবারে হত্যার কলঙ্ক যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের মানুষকে বহন করে যাবার অতৃপ্তি থেকে অধিকাংশ মানুষ মুক্তি চেয়েছে।

আমরা যারা ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত বিএনপি সরকারের দূর্বল শাসনে বিরক্ত ছিলাম তারা শেখ হাসিনা আমল শুরুর অল্প কিছুদিন বাদেই উপলব্ধি করতে আরম্ভ করলাম ‘যে লাউ সেই কদু!’ কারণ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আধিপত্য পরিবর্তন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো। রাষ্ট্র পরিচালনা কাঠামোর কোন গুনগত পরিবর্তন তো হলোই না উল্টো চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, ঘুষ, দুর্নীতির নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে থাকলো। আমরা হতাশ হয়ে লক্ষ্য করছিলাম যে শিল্পী হায়দার হুসেইন এর গানের কথার প্রশ্নগুলো প্রবলতর হয়ে কানে বাজছে “আজ নেই বর্গী, নেই ইংরেজ, নেই পাকিস্তানী হানাদার, আজো তবু কেন আমার মনে শূণ্যতা আর হাহাকার? আজো তবু কি লাখো শহীদের রক্ত যাবে বৃথা? আজো তবু কি ভুলতে বসেছি স্বাধীনতার ইতিকথা?”

আমি ১৯৯৮ সালে মৎস্য বিজ্ঞানী হিসেবে সরকারী প্রকল্পে চাকুরী আরম্ভ করলেও ২০০০ সালে সরকারের অন্য একটি মৎস্য প্রকল্পে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে কর্মজীবন শুরু করি। সরকারী অফিসগুলোর কর্মকান্ড, অযোগ্যতা, অদক্ষতা, ঘুষ ও দুর্নীতির কান্ডকারখানা খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছি ২০০৫ সাল পর্যন্ত। সরকারী অফিসের তুঘলকি সমূহ স্বচক্ষে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে নেয়া শিক্ষা, চিন্তা ও দর্শন আগামী পর্বগুলোতে তুলে ধরার ইচ্ছে রইলো। নিঃসন্দেহে ছাত্র জীবনে দেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট একরকমভাবে দেখা আর কর্ম জীবনে অন্য দিকটাও ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ পেয়ে রাষ্ট্র কাঠামো ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সমূহ নিয়ে যাবতীয় অভিজ্ঞতা আমাকে সমৃদ্ধ করেছে।

(চলবে)

লেখা: পল্লব খন্দকার

সত্ত্ব: দৈনিক আলোকবর্তিকা। 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

https://www.moralparenting.org/

Categories

© All rights reserved © 2023 দৈনিক আলোকবর্তিকা
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই