1. admin@dainikalokbortika.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)
এই মাত্র পাওয়া
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)

হাওর ভ্রমণ: বৈচিত্র্যময় এক প্রাকৃতিক জলাধার, পর্যটন সম্ভাবনা ও ঝুঁকি (দ্বিতীয় অংশ)

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৪৮২ Time View

প্রকাশক ও সম্পাদক

একজন কম আবেগ সম্পন্ন সাধারণ পর্যটকের দৃষ্টিতে দেখলে বিস্তীর্ন জলরাশি, মাঝে মাঝে কিছু হিজল করচ গাছের সারি, বিশুদ্ধ বাতাসের প্রবাহ আর শুনশান নিরবতা ছাড়া হাওরে তেমন কোন চমকে যাওয়ার মতো পর্যটন উপাদান নেই। আমি দেখেছি অনেক পর্যটক খুব উৎসাহ নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণে বের হয়ে তিনদিন ধরে শুধু বনের গাছ, নদীর পানি আর রাতের গা ছমছম নীরবতা দেখে খুবই আশাহত হয়ে পড়েন। শুধুমাত্র বনের ভিতরে একটু হাটাহাটি করার সুযোগ পেয়ে বা কটকা পর্যন্ত যেতে পারলে একটু সমূদ্রের পানিতে পা ভিজিয়ে আনন্দ পান। হাওড় ভ্রমণও এই একই কারনে কোন কোন পর্যটকের কাছে একঘেয়েমী মনে হতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছুটা ধৈর্য্যশীল, কল্পনা বিলাসী এবং নীরবতার সৌন্দর্য্য উপভোগের উপযুক্ত মানসিকতার মানুষ হতে হবে!

গত সেপ্টেম্বরে একটি গবেষণা দলের সাথে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে গেলেও আমার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো পর্যটক হিসেবে ভ্রমণটি উপভোগ করা। সেই প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা যাই থাকুক আমি পরিপূর্ণ আনন্দ নিয়েই ফিরেছি একদিনের হাওর পরিদর্শন শেষে। কিন্তু হাউজ বোটে হাওরে রাত্রিযাপনের অভিজ্ঞতাটা নেয়ার সুযোগ পাইনি, আগামীতে নিশ্চয়ই সেই উদ্দেশ্যে হাওর ভ্রমণে যাবো। আমি গ্রামের মানুষ হিসেবে উপলব্ধি করতে পারি চারিদিকে বিস্তীর্ন জলরাশির মাঝে গভীর রাতে একটি হাউজ বোটের ছাঁদে আপনি বসে আছেন; ভরা জ্যোৎস্নার আলো ভেসে যাচ্ছে চিকচিকে শান্ত জলরাশির মৃদু মন্দ ঢেউয়ের তালে তালে! আমি নিশ্চিত আপনি কবি নাহলেও কবিতা লেখার নেশায় বুদ হতে ইচ্ছে হবে, কারন আপনার ইচ্ছের অজান্তেই এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি হবে জল ও জ্যোৎস্নার অভূতপূর্ব মিলনে। আবার শীতকালে হাওরের যে অংশে পানি থাকবে বা স্থানীয় নদীগুলোতে ভ্রমণের সুযোগ পেলে আপনি দেখতে পাবেন নদীর জলের ওপর কুয়াশার চাদর ভেসে আসছে, চারপাশ কুয়াশায় ঘিরে আছে, জ্যোৎস্না ও কুয়াশার মায়াজালের এ এক মোহনীয় দৃশ্য।

আমার একজন ভ্রমণ সহযাত্রী যিনি নামকরা একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত তিনি জানালেন শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি সুনামগঞ্জে বন্ধুদের নিয়ে হাওরে ঘুরতে আসতেন এবং বহুবার হাউজবোটে বা নৌকায় থেকে রাতের হাওরের বিপুল সৌন্দর্য্য উপভোগ করেছেন। তিনি শিল্পমনা একজন মানুষ তাই হাসন রাজার পরিবারের একজন প্রয়াত কবির সাথেও হাওর ভ্রমণ করেছেন, গান কবিতা ইত্যাদি শিল্প চর্চা করে বহু রাত পার করেছেন হাওরে বা সুরমা নদীর পারে। তাই আপনি যদি খুবই সাধারণ একজন পর্যটক হন, আপনি যদি শুধুই সুন্দর স্থাপনা বা প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখেই আনন্দ পান তাহলে হাওরের আটপৌরে সৌন্দর্য্য আপনাকে নাও টানতে পারে। হাওর অনেকটা ঘোমটা টানা সৌন্দর্য্যের মত, শুধুমাত্র ঘোমটা তুলতে জানলেই আপনি লুকিয়ে থাকা সুন্দরকে আবিষ্কার করতে পারবেন।

টাঙ্গুয়ার হাওরের বৈশিষ্ট্য হলো এটি আমাদের দেশের সীমান্ত এলাকায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বর্ডারে অবস্থিত সুদৃশ্য উচু উচু পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। পাহাড়গুলোর খুব কাছেই আপনি যেতে পারবেন এবং আপনি নিশ্চিত আফসোস করবেন কেন পাহাড়গুলোর মালিকানা বাংলাদেশের হলো না? এখানেই পাহাড়ের পাদদেশে পর্যটকদের জন্য ছিমছাম নীলাভ পানির নীলাদ্রী লেক রয়েছে, ছোট ছোট টিলাগুলো আন্তঃদেশীয় সীমানার নো ম্যানস ল্যান্ড হিসেবে প্রবেশ নিষেধ লেখা থাকলেও লোভ সামলাতে না পেরে অনেকেই সীমানা লঙ্ঘন করে পাহাড়ি সুন্দর দৃশ্যের ছবি তুলে থাকেন। নীলাদ্রী লেকটি যে আহামরি ফয়েজ লেকের মত সাজানো গোছানো সুন্দর তা বলার সুযোগ নেই তবে এই অগোছালো সৌন্দর্য্য আপনাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও টানবে। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরহাদে নীলাদ্রি লেক অবস্থিত। প্রকৃত নাম শহীদ সিরাজ লেক, যদিও মানুষ নীলাদ্রি নামেই বেশি চেনে। নীলাদ্রি লেক মূলত চুনাপাথরের পরিত্যক্ত লাইমস্টোন লেক। নীল স্বচ্ছ জলের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্যের কারণে এটি ‘নীলাদ্রি’ নামে পরিচিত। নীলাদ্রি লেকের পাশে রয়েছে সিমেন্টের তৈরি বসার জায়গা। সেখানে বসেও সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। পাশেই রয়েছে চায়ের টঙ দোকান। এক কাপ চায়ে চুমুক দিতে দিতে উপভোগ করতে পারেন অপার্থিক সৌন্দর্য। পানির তেষ্টা পেলে ধারেকাছেই কিনতে পাবেন ডাব।

নীলাদ্রী লেক ভ্রমণে গিয়ে আপনি কিছু পুরনো ভাঙ্গা দালান কোঠা দেখতে পাবেন, এগুলো বৃটিশ আমলের রেল স্টেশনের ও একটি হাসপাতালের প্রায় হারিয়ে যাওয়া অংশ। আপনি কল্পনা বিলাসী হলে অবশ্যই চোখ বুজে দেখতে পারবেন দুইশত আড়াইশত বছর আগের একত্রিত ভারতীয় উপ-মহাদেশের এক খন্ড প্রমানক। এখান থেকে চুনাপাথর সংগ্রহের জন্য রেল লাইন পর্যন্ত স্থাপন করা হয়েছিলো অথচ আজ দুটি দেশের সীমানা বিভক্তির কারনে এলাকাটি অনুন্নত প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে ইতিহাসে হারিয়ে গেছে। ভাবা যায় দুই আড়াইশত বছর আগেই এটি ছিলো সমৃদ্ধ এক জনপদ? আপনি অনুমান করতে পারবেন একটি দেশের বা মানুষের জীবনের ঘটে যাওয়া ছোট বড় ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো কিভাবে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে একটি জনপদ, ব্যাক্তি বা পরিবারের উপর।

নীলাদ্রী লেক ভ্রমণ শেষ করে পড়ন্ত বিকেলে আমাদের গবেষণা কাম পর্যটন দলের সদস্যরা মিলে একটি ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সায় চেপে গত বছরের পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত রাস্তা ধরে অনেকটা ঝালমুড়ির কৌটায় থাকা মুড়ির মত ঝাঁকি খেতে খেতে দেখতে গেলাম পার্শবর্তী এলাকায় একটি নাম না জানা ঝর্ণার কাছে। যদিও ঝর্ণা বলা ভুল হবে, ভারতীয় সীমান্তের ২-৩ কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত ঝর্ণার পানির প্রবাহটি শুধুমাত্র আমাদের দেশের সীমান্ত দিয়ে নদী বা হাওরে পতিত হবার কালে একটা নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা করেছে। প্রথমে খুব আনন্দদায়ক হবে না মনে হলেও পাহাড়ি ঝর্ণার প্রবাহমান শীতল জলের ধারায় পা ছুঁইয়ে বেশ উদ্দীপনা বোধ করলাম আমরা সহ আগত অন্যান্য পর্যটকবৃন্দ। তাই পুরোপুরি ঝর্ণার সৌন্দর্য্য অবলোকনের সুযোগ না পেলেও আপনি দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর সুযোগ পাবেন ভারতের দুই পাহাড়ের মাঝের ঝুলন্ত সেতুর নীচ দিয়ে প্রবাহমান ঝর্ণার জলের ধারা ও সবুজ পাহাড়ের কাছাকাছি যাবার কারনে।

চলবে—————————————

পল্লব খন্দকার, ০৯ নভেম্বর ২০২৩।

mazhabkh93@gmail.com

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

https://www.moralparenting.org/

Categories

© All rights reserved © 2023 দৈনিক আলোকবর্তিকা
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই