1. admin@dainikalokbortika.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ অপরাহ্ন
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)
এই মাত্র পাওয়া
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)

দৈনিক আলোকবর্তিকার জন্ম বৃত্তান্ত

  • Update Time : বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩
  • ৪৮৭ Time View

ডায়েরির পাতায় রোজনামচা, ধর্মীয় ও দেশাত্মবোধক ছড়া কবিতা লিখতে লিখতে স্কুল জীবন থেকেই আমার লেখালেখির নেশা আরম্ভ, সেভাবেই হাতেখড়ি। নিজের লেখা পড়ে নিজেই মুগ্ধ হবার সহজ সরল কৈশোর, যৌবন পার করে এই পঞ্চাশে এসে একদিন ভোর বেলায় স্বপ্ন আদিষ্ট হয়েই অনলাইন পত্রিকা সম্পাদনের ভূত মাথায় চাপলো। কলেজ জীবনে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের রক্ত গরম করা রাজনৈতিক খবরগুলো পড়তে পড়তেই পত্রিকার পাঠক হিসেবে নবজন্ম লাভ করেছিলাম। তখনকার সময়ে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয়, মতামত, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সমূহ পড়তে খুবই আনন্দ পেতাম। ইচ্ছে করতো নিজের মতামতগুলোও লেখার, তাই ডায়েরির পাতায় হিজিবিজি যা মনে আসতো লিখে ফেলতাম। কাজী শাহেদ আহমেদ এর সম্পাদনায় আজকের কাগজ নামে দৈনিক পত্রিকাটি প্রাকশিত হবার পর আজকের কাগজের ভক্ত হয়ে গেলাম। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি খবর ও নিবন্ধগুলো না পড়ে থামতাম না, তখন সাংবাদিক মতিউর রহমান সহ অনেকের লেখার অন্ধ ভক্ত হয়ে যাই। দেশের প্রচলিত নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে আমার মধ্যে একধরনের অনীহা তৈরি হয়, প্রচন্ড ইচ্ছে করতো সকল অসঙ্গতির বিরুদ্ধে কলম ধরতে। ধরতাম কলম ঠিকই তবে তা নিজের ডায়েরির পাতায়, নিজেই লেখক নিজেই পাঠক।

সেই সুপ্ত ইচ্ছে থেকেই ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালের দিকে “ক্ষমা” ছদ্মনামে দৈনিক ভোরের কাগজের চিঠিপত্র কলামে লেখা দেয়া আরম্ভ করলাম। আমার লেখাগুলো প্রায়ই সপ্তাহের সেরা চিঠি হিসেবে নির্বাচিত হতো, সেরা চিঠির জন্য ঘোষণা ছিলো ১০০ টাকা পুরষ্কারের যদিও ডাক মারফত তা কখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি! তারপর কিভাবে যেনো পত্রিকায় লেখালেখির নেশা ছেড়ে চলে গেলো, কবিতা আর রোজনামচা লেখালেখি চলতে থাকলো পূর্ণদ্দোমে। কিন্তু গণমাধ্যমে নিজের লেখা প্রকাশের তেমন কোন আকাঙ্ক্ষা কখনো তেমন বোধ করিনি, পাতার পর পাতা লিখে গেছি নিজের মনের খোরাক জোগাতে। খুব ভালো লেখা মনে হলে কাছের দুই একজন বন্ধুকে গোপনে পড়তে দিয়েছি, তাদের প্রশংসায় খুশি হয়েছি, তারচেয়ে বেশি কিছু নয়। এরপর ২০১১-১২ সালের দিকে স্মার্ট ফোন হাতে আসলে ফেসবুক আইডি খোলার পর ডায়েরি লেখার নেশা ছেড়ে ফেসবুকে লেখার দুনিয়ায় প্রবেশ করলাম। জীবনটা এনালগ থেকে ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করলো, ফেসবুক বন্ধুদের লেখার প্রশংসা লাইক, কমেন্টে উৎসাহিত হয়ে চলতে থাকলো সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখার ফুলঝুরি।

আমার আপন মামা শহীদ সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক ছিলেন পাকিস্তান প্রেস ইন্টারন্যাশনালের চীফ রিপোর্টার।একই সঙ্গে তিনি কলম্বিয়া ব্রডকাস্টিং সার্ভিস এবং হংকং-এর এশিয়ান নিউজ এজেন্সির ঢাকা সংবাদদাতা ছিলেন। তিনি ঢাকা টাইমসের সিটি এডিটর হিসাবেও কাজ করেন। তিনি নিয়মিতভাবে অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে ‘ডন’ (Dawn), ‘পাকিস্তান অবজারভার (Pakistan Observer), ‘ঢাকা টাইমস’ (The Dacca Times), ‘ওয়েভ’ (The Wave), ‘ইউনিটি’ (Unity) ইত্যাদি পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখতেন । যুদ্ধ চলাকালীন নাজমুল হক তাঁর লেখনীর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন দেন এবং দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর মর্মন্তুদ অত্যাচারের কাহিনী তাঁর লেখনীর মাধম্যেই পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে বিদেশি সংবাদপত্রের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে থাকেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত হবার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৬৯ সালের অক্টোবর মাসে যখন ইউরোপ ও লন্ডন সফরে যান তখন তার একান্ত সচিব হিসেবে কেবল সৈয়দ নাজমুল হককে নিয়ে যান। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বরে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ৬ দিন আগে আলবদর বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

জানি না প্রয়াত সাংবাদিক মামার অদৃশ্য ইশারায় অথবা রক্তে মিশে থাকা পূর্ব পুরুষের লেখালেখির উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অভ্যাসের কারনেই একমাস পূর্বে ভোর বেলায় হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি একটি অনলাইন পত্রিকা সম্পাদন করার। সিদ্ধান্ত নিই যে পত্রিকাটিতে শুধুই ইতিবাচক সংবাদ, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, আলোচনা, ছবি, শিল্প, সাহিত্য, সাংষ্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদিই প্রকাশিত হবে। রাজনৈতিক কোন সংবাদ বা এ বিষয়ক কোন তথ্যই আমি প্রচার না করতে বদ্ধপরিকর। আলোকবর্তিকা অর্থই হলো ঘুটঘুটে অন্ধকার পেরিয়ে একবিন্দু আলোর সন্ধান পাওয়া, সমাজের চারিদিকে চলমান বিষন্ন প্রহরের ক্ষণ কাঁটিয়ে সেই ক্ষীণ আলোর সন্ধানে তাই যাত্রা শুরু করলাম। সকল সুবিবেচক, সৎ ও আলোকিত মানুষদের পাশে পাবার প্রত্যাশায় রইলাম।

পল্লব খন্দকার

১৪ জুন, ২০২৩।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

https://www.moralparenting.org/

Categories

© All rights reserved © 2023 দৈনিক আলোকবর্তিকা
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই