(১)
ফাঁকা বাসে যুবতী বাস ড্রাইভারের প্রেমিক
কুয়াশা মাখা গীর্জায় যিশু ঝুলে আছে
ক্রূশ বিহীন;
অশীতিপর আবহাওয়া গাছেদের দিচ্ছে ফুল ফোটানোর
ফুসরত
আমার বিন্দুমাত্র অবসর নেই;
খাওয়া ঘুম জাগা প্রাতঃরাশ
প্রাত পানঃ প্রাত প্রেমিকাদের বেড়ে ওঠা লকলকে সন্তান
এসব ভাবনা গ্রাস করলে
নিচে ভগবানের মন্দির চক্রাকারে স্তুতি করে
মহাজাগতিক মিটিঙের; শুক্র শনি সোম এবং সূর্যের;
ক্ষমা, ভয়, দাস, পূন্যফল, পাপ, নরক, স্বর্গের;
সারাদিন অদৃশ্য শক্তিতে নজরবন্দী; উপাসনা;
এসবের থোড়াই কেয়ার করে; বাস চালাচ্ছে যুবতী মানুষ
কুয়াশার মধ্যে; যেন প্লেন চুকচুক করে খাচ্ছে মেঘের মধু
সামনে চালকের ডান পাশে বসা; প্রেমিকের মাথায়-
কামুক ষাড় টুপি
প্রতীক্ষায় আছে; যাত্রীবিহীন একটা মধ্যাহ্ন বিরতির।
ডুসেলডর্ফ
০৮/০৪/২০২৩
(২)
জলপদ্ম
একটি মেয়ের পুরুষ বিষয়ক কথা। নিজের দেশের কথা। দেশ কেমন আছে। ফেলে আসা বাড়ি। আর মা। অবহেলিত মা। যে রান্না করে কাজ করে খাওয়ায় নিজে খায় না। মা কাঁদে। যে কাদলে কারো কিছু আসে যায় না। মা মরে গেছে জীবন চলছে ঠিকঠাক। এই পৃথিবীতে মানুষের কোন মুল্য নেই। মেয়ে নদীর ধারে গেলে বখাটে স্তনে হাত দেয়। মেয়ে বড় হয়ে কবি হলে কবিরা কবিতা পড়ার ছলে স্তন টিপে দেয়। ছেলেরা উরুর মাঝখানের অস্ত্র নিয়ে বড়াই করে। তারা সঙ্গম বোঝে না। মেয়েরা সমুদ্র। ছেলেরা সমুদ্র পাড়ে গিয়ে কেবল ঘেউ ঘেউ করে। সমুদ্রের ঢেউ গায়ে লাগার আগেই শান্ত হয়ে যায়। সমুদ্র সাতরানোর আগেই ডুবে যায়। এতে সমুদ্রের কিছু যায় আসে না।
০৯/০৪/২০২৩
ভেরোনিকা
(৩)
একটি ফুলের নামে দিন শুরু করে; ফুলের মধু খেয়ে দিন শেষ করা ঘুঘু পাখি; খড়ের গাদায় ঘুমিয়ে স্বপ্নে দেখে পাখি পার্ক। অবনমিত পাতাল ট্রেন; স্বাপ্নিক ঝিকঝিক ব্যক্তিগত আসনে তারা তিনজন; পাখি, পাখির বর এবং শিশু পাখি। মায়ের কোলে শিশু, বাবার কোলে মা, শিশুর দু-পাশে মা এবং বাবার হাত!
হঠাৎ ; মহাজাগতিক সেলফিতে মহাজাগতিকরশ্মির কেমোফ্লেজ। বাবার হাত কোথায়? এই প্রশ্নে মায়ের ঘুম ভেঙে যায়। সকালে উঠে তারা দেখে ফুল গাছের তলায় খড়ের গাদায় দুটো ডিম। তা দেয়া ডিমে ফুলের নাভিশ্বাস।
১০/০৪/২০২৩
Leave a Reply