গাজী মোমিন উদ্দীন
সিনিয়র শিক্ষক
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
উদাস মন
প্রায় গাছতলায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি
আনমনা ভাবে উদাস মনে,
দেখি অকারণে পথ পানে চেয়ে থাকতে
লক্ষ্যহীন গন্তব্যের দিকে।
থ হয়ে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিপাত
অজানা কিছুর প্রতি অখণ্ড মনোযোগে,
নিজেকে হারিয়ে ফেলার মত,
মনে হয়, মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় ওঠা।
কোথায় যাচ্ছে জানিনা
তবুও উঠেছি ঘুরছে তো ঘুরছো অবিরাম
এর গন্তব্য কোথায়
কত সময় ঘুরবে চারদিক দিয়ে।
হঠাৎ থমকে গেলাম আমি
দেখি থেমে গিয়ে স্থির হয়ে গেছে,
তেমনি গাছতলায় দাঁড়িয়ে ভাবতে ভাবতে
হঠাৎ মনে হয়, আমি কেন দাঁড়িয়ে আছি।
মাঝে মধ্যে ভাবনাগুলো লুকোচুরি খেলে
এক জায়গায় এসে জড় হয়,
আবার দাড়িয়াবান্ধার খেলোয়াড়ের মত
চারদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়।
জানিনা এমন কেন হয়
ভাবনাগুলো কি একত্রিত হয়ে এক স্থানে
থাকার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে না,
কেন উদাস দাঁড়িয়ে রাখে উন্মন করে।
মনে থাকে না গাছতলায় দাঁড়িয়ে থাকা
চুলগুলো বাতাসে এলোমেলো ওড়ে,
শাড়ির আঁচল থাকে না ঠিকমত
মানুষ অথচ দিব্যি দাঁড়িয়ে পাথরের মত।
যেন চোখে পড়ে না পাশ দিয়ে যাওয়া মানুষ
কেউ এসে ডাকলেও বুঝি নিরব
দাঁড়িয়ে থেকেও যেন কল্পনার ভূত
উদাস সময় পার করি একান্তে একাকী।
তারপর সম্বিত ফিরে পেয়ে ভাবি
ধুর, এখানে খোলাকেশে দাঁড়িয়ে কেন?
অনেক কাজ আছে যে আমার
আমি তো উদাস দুপুরের কেউ নই।
একজন তুমি
তুমি আমার কাছে আছো মানে, আমার মন খা’রা’পদের লেজ গুটিয়ে পালানো।
দখিনা হওয়ার মিষ্টি গন্ধে চুলগুলো এলোমেলো। তারপর, তুমি কানে গুঁজে দিতেই লজ্জাকর মুহুর্ত।
তুমি আমার কাছে আছো মানে, চায়ের কাপের আড্ডা আরো দীর্ঘ হওয়া।
টিভির রিমোট নিয়ে কাড়াকাড়ি। খামখেয়ালি কথাদের আরো একটু বাড়াবাড়ি।
তুমি আমার কাছে আছো মানে, বৃষ্টিতে ভেজার হাজারটা বায়না।
তারপর জ্বর উঠলে একে অপরকে আরামসে বকে যাওয়া।
তুমি আমার কাছে আছো মানে, গপ্পে সপ্পে গোটা রাত পাড় করা।
দেরিতে অফিস যাওয়ায় বসের অনিয়মিত ঝাড়ি। তারপর, মুখ গো’মড়া করে তোমার ঘরে ফেরা।
তুমি আমার কাছে আছো মানে, অ’ভিমান অ’ভিযোগের আস্কারা।
আরো কিছুটা ভু’ল। বকার ভ’য়। শেষমেশ তোমার বুকেই কেঁদে নেওয়া।
তুমি আমার কাছে আছো মানে, বিশ্বস্ত একটা হাত, প্রসস্থ একটা কাঁধ।
যেখানে ঝড়ঝাপটায়ও ভ’য় না আসা। বরং খুব নিশ্চিতে, একান্ত নিভৃতে একে অপরকে ভালোবাসা।
বনানী ঘোষ, খুলনা থেকে।
Leave a Reply