পাখিটা মরেই গেলো
– নাজির হোসেন
ছোট্ট একটা হলদে পাখি,
পাখিটা খুব মিষ্টি ছিলো।
সুরটাও খুব মধুর ছিলো,
ভ্রমরকৃষ্ণ লোচনজোড়ায়-
মন ভুলানো মায়া ছিলো!
গোলাপী রং পাখির ঠোঁটে
পথ হারানো যাদু ছিলো!
পাখিটা মরেই গেলো?
আমার দুটো প্রশ্ন ছিলো-
পাখির কোনো দোষ ছিলোনা,
মেঘের কাছে ঋণ ছিলোনা !
আকাশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার
এমন কোনো দায় ছিলোনা !
তবুও পাখি মরলো কেনো ?
কেউ জানেনা, কেউ জানেনা !
গান গাওয়া তার স্বভাব ছিলো,
লোভ-লালসার অভাব ছিলো,
অসীম উদার পাখির মনে-
অষ্টপ্রহর শান্তি ছিলো !
গুন-গুনানী গানের সুরে
এডাল হতে ওডাল ঘুরে,
ছোট্ট পাখি উড়ে উড়ে-
আপন নীড়ে আসতো ফিরে !
হঠাৎ একদিন কি যে হলো !
ঠিক দুপুরে পথ হারালো,
পাহাড়ঘেরা বনের ধারে-
হলদে পাখি মন হারালো !
দুপুর গিয়ে সন্ধ্যা হলো
সব পাখি তার নীড়ে এলো,
হলদে পাখি এলোনা !
আমার খাঁচায় আমার পাখি –
আর কোনোদিন ফিরলোনা !
ভালো থেকো
– সালমা বিশ্বাস
ভালো থেকো সবাই….
ভালো থেকো
তোমার মতো করে তুমিও….
ভালো থেকো
ফুলের মতো মৌমিতার গন্ধ বুকে নিয়ে….
ভালো থেকো
ভোরের ঝিরি ঝিরি বয়ে চলা বায়ুর মতো….
ভালো থেকো
সারাদিনের ব্যস্ততার গ্লাণীকে ধুইয়ে দিয়ে….
ভালো থেকো
কোন এক গোধূলি লগ্নে….
ভালো থেকো
সন্ধ্যায় নীড়ে ফেরা পাখির মতো….
ভালো থেকো
গভীর রাতে আকাশের বুকে জেগে থাকা চাঁদের মতো….
ভালো থেকো
সকালের সোনালী সূর্য্যের আলোর মতো…
ভালো থেকো
বয়ে চলা নদীর মতো….
ভালো থেকো
অটল পর্বতের মতো….
ভালো থেকো
দু:খ-বেদনা দূরে রেখে হাসি-আনন্দকে হৃদয়ে ধারণ করে….
ভালো থেকো
মৃর্ত্যুর মতো স্নিগ্ধ, সুন্দর, সত্য একটি জীবন জেনেও পথ চলা
তবুও ভালো থেকো……
(আগন্তুক সিরিজ)
স্বীকারোক্তি
-জাকারিয়া জাবের
শতবার ডাকবার পরে যে একবার সাড়া দেয়,
এক বছর অন্তত তার নামে গঙ্গায় শিউলি ভাসিয়ে পূজা দেয়া-ই যায়।
যন্ত্রনা দেয়ার ইতি টানতে গিয়ে পারা যায় না,
এটাও একধরনের যন্ত্রনা।
এড়িয়ে যাবার মন্ত্র আমার জানা নেই।
যা জানি সেটা হয়ত সেই মন্ত্র না!
শিকার হয়ে স্বীকার করা না
করায় কি আসে যায়।
স্বীকারোক্তিতে কোন প্রাপ্তি আছে কি। অকারন- স্বীকারোক্তিতে লাভ কি!
কে বেশি স্বার্থপর আমি!
নাকি তুই কে হারলো আর কে হারালো, জেতেনি কেউ।
– না হলে দেখা হবার কথা ছিল। দেখা হয় নি –
পালাবার কথা ছিল দূরে কোথাও-
পালানো হয়নি।
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজবার ইচ্ছা –
পূরন হয়নি।
সীমার মধ্যে থেকে যার দেখা পাইনা,
অসীমে তার সাথে দেখা হয় কেমন করে!
যে সসীমের সীমানা ছুঁয়ে যায়,
সে হয়ত অস্পৃস্য থেকে যায়।
কেউ ই হয়ত জানে না,
কে কার দেবতা –
কে কার দেবী।
কে কার কোন গহীনে
দাগ রেখে যায়।
প্রচ্ছদ: আর্কিটেক্ট হুমায়রা হাবীব নবনী।
কবিতা সংগ্রহ: উজ্জ্বল মাহমুদ।
সংকলন: দৈনিক আলোকবর্তিকা।
Leave a Reply