প্রেমের বিদ্রোহ
– মরিয়ম ইসলাম
তুমি কি ভেবেছো দু:খটুকু আমাকে দিয়ে নীলাগ্রহে ঠাঁই নেবে?
অথবা সহস্র মাইল দূরে যেয়ে অভিমান, অভিযোগের বোঝা আমাকে চাপিয়ে দেবে।
তা আমি হতে দেবোনা!
আমি কঙ্কনের রিনিঝিনি বাদ্যের তালে অথবা ঘুঙ্গুরের শব্দে মাতাল করে তোমাকে ফিরিয়ে আনবো।
ভেবেছো ওখান থেকে তুমি পালাবে?
না!! তা হবার নয়।
আমি বর্বর, নৃশংস উন্মাদ হবো
প্রস্তরের আঘাতে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেবো।
তবুও তোমাকে হারাতে দেবোনা।
আমি তীর ধনুকের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পদদলিত হবো।
বর্শার আঘাতে জর্জরিত হবো
তবুও তোমায় আগলে রাখবো।
আমি ধ্বংস, উত্তাপ অথবা ত্রিশূল হবো তোমাকে বাঁচানোর জন্য।
আমি একরাশ মুগ্ধ সুনীবিড় ছায়া হবো
তোমাকে আশ্রয় দেবার জন্য।
তবুও কি চলে যেতে চাও?
তাহলে নীল পদ্ম হয়ে তোমাকে ভাসিয়ে নিয়ে আসবো।
বুঝবেনা আমার আর্তনাদ!
তবেই হবে শেষ যুদ্ধবিগ্রহ। আমিও দেখে নেবো আমার থেকে তোমাকে কে বেশি ভালোবাসে?
তাকেও আমি পরাজয়ের শেষ হাসি হাসাবো।
ভেঙ্গে দেবো সব আহাজারি
আকাশ বাতাস কান্নায় লুটিয়ে পড়বে।
আমি চিৎকার করে জানান দেবো পৃথিবীর সমস্ত জীবনকে।
জয়ধ্বনি দিয়ে ভালোবাসার পতাকাতলে তোমাকে করবো আরোহিত।
ভালোবাসার জয়ের হাসিটা তুমিই হাসবে।
সেদিন আমি চিরশান্তিতে নিদ্রায়িত হবো!
#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@
আলাপচারিতা
– সজল মনির
ডুবার কালে সূর্য ডেকে মেঘমালাকে বলে
আসো মোরা গল্প করি বসে হেলে দুলে
কেমন করে বেড়াও ভেসে বৈচিত্রময় সাজে
এত রং পাও যে কোথা, কিভাবে তা আসে।
এক হয়েছে মেঘমালারা সূর্য মামার ডাকে
খুশিতে ভীষণ আত্মহারা লাগছে আজকে
বলল হেসে একে একে বৈচিত্র্য যত
সূর্য মামার রং মেখেই, তারা আলোকিত।
কখনো সাদা কখনো কালোয় যেভাবে মন চায়
সূর্য কিরণ লাগে যখন, রঙের ছটা পায়
নীলাভ রঙে কখনো হাসে কখনো লাল পাড়
অস্ত যাবার সময় কালে, স্বর্ণালী কারবার।
#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@#@
কর্ম করো
– লাবনী খানম
পরিশ্রমেই সফলতা
জ্ঞানী গুণী মানে,
কর্ম করো কর্ম করো
বিশ্বজয়ের টানে।
কর্ম ছাড়া বিফলতা
অতি দ্রুত আসে,
চোখ ও নাকের জলের ধারা
বন্যা হয়ে ভাসে।
কর্ম-ধৈর্য্য দুই গুণেতে
মিলন যদি ঘটে,
ফুলের মত জীবন সুন্দর
তোমার হবে বটে।
অলসতা অধৈর্য্যতে
জীবন করে নষ্ট ,
লোকে করে কানাকানি
হয়েছো পথভ্রষ্ট!
আশার আলো তারাই পাবে
যদি করে কর্ম,
রাজসিংহাসন ভালে জোটে
ঝরে যত ঘর্ম।
প্রচ্ছদ:আর্কিটেক্ট হুমায়রা হাবীব নবনী।
কবিতা সংগ্রহ: উজ্জ্বল মাহমুদ।
সংকলন: দৈনিক আলোকবর্তিকা।
ধন্যযোগ
আমার খুব প্রিয় ভাইয়া
জনাব খোন্দকার মাযহাব উদ্দীন পল্লব
প্রতিভা বিকাশের এমন নান্দনিক
সুযোগ করে দেওয়ার জন্যে