1. admin@dainikalokbortika.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)
এই মাত্র পাওয়া
সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ: গণতন্ত্রের মূল কথা পুনঃ ফ্যাসিজমের আশংকা: প্রসঙ্গ যখন বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (পঞ্চদশ পর্ব) জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়ার ভিলেজ সুপার মার্কেট এ সফল কো-অপারেটিভ এর উদ্যোগে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ পালিত সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (চতুর্দশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (ত্রয়োদশ পর্ব) সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (দ্বাদশ পর্ব) নতুন বাংলাদেশ: জেন-জি প্রজন্মের স্বপ্ন কি আদৌ বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব? একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: দুই হাতে টাকা বানাতে বলতেন শেখ হাসিনা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)

সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৭৬ Time View

১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এরশাদ-খালেদা শাসনামলের পুরোটা সময় এবং শেখ হাসিনার শাসনামলের প্রথম এক বছর (১৯৯৭ এর জুলাই পর্যন্ত) আমার ছাত্র জীবন চলমান ছিলো। আগেই বলেছি স্কুল জীবনে প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করার ফলে সেভাবে রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পাইনি। ছাত্র জীবন শেষ করে নিয়মিত কর্ম জীবনে প্রবেশ করার প্রথম সুযোগ পাই ১৯৯৮ সালের মে মাসে। বলে রাখা ভালো সরকারি চাকুরীর জন্য ইদানীংকার প্রজন্মের তরুণ বা যুবকদের মধ্যে যে পরিমাণ আগ্রহ ও উদ্যোগ দেখা যায় আমাদের সময়ে অতোটা দেখিনি। যদি আমার কথা বলি সেক্ষেত্রে সরকারি চাকুরী করলে ঘুষ দুর্নীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়তে পারি এই কারণে কখনো যথেষ্ট আগ্রহ বোধ করিনি। এছাড়া আমাদের ঐ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের বেতনের স্বাস্থ্য খুবই হতশ্রী রকমের ছিলো। তখনকার দিনে ধরেই নেয়া হতো সরকারি কর্মকর্তারা ঘুষ দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া ছাড়া সচ্ছলভাবে পরিবার চালাতে পারে না।

সরকারি চাকুরীতে অনাগ্রহের আরও একটি কারণ ছিলো আমার পরিবারে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁরা প্রশাসন, ভূমি মন্ত্রণালয়, পেট্রোবাংলা ইত্যাদি সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ ও মধ্যম পদে চাকুরী করতেন। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ যেমন ধর্মভীরু পাশাপাশি নিজ আত্মীয় বা পরিচিত জনদের অবৈধ আয়ের ব্যাপারে আপোষকামী। সবাই জানি সরকারি চাকুরীতে বেতন খুবই কম কিন্তু সেই চাকুরী করেও নিজের ও পরিবারের সদস্যদের দাপুটে চলাফেরা, জীবন যাপন, দামী বেশভূষা, অস্বাভাবিক সম্পদের পরিমাণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে স্পষ্ট অসামঞ্জ্যস্যতা থাকলেও আমরা কেউ প্রশ্ন করি না। উল্টো সৎ কর্মকর্তা, যারা গরিবানা জীবন যাপন করেন তাদের প্রতি করুণা প্রকাশ করে থাকি। পক্ষান্তরে ঠাটবাটওয়ালা সরকারি কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের তোয়াজ করি! সেই রাষ্ট্রীয় চরিত্রের বাইরে আমিও ছিলাম না, পরিবারের সেই সকল সরকারি চাকুরে সদস্যদের অনুগ্রহ বা করুণা নিয়েছি বিনা বাক্য ব্যয়ে।

আপনার আমার আশেপাশে কে বা কারা দুর্নীতি করছে, কে অবৈধ পথে আয় করছে সেসব কিন্তু সহজেই বোঝা যায় একটু মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করলে। আমি স্নাতক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিলাম কমপক্ষে ছয় মাস শুধু ইচ্ছেমতো ঘুরবো টো টো করে। চাকুরির কোন চেষ্টাই না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যাই, আড্ডায় মেতে উঠি বন্ধু বা জুনিয়রদের সাথে। খুলনার কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও উমেশচন্দ্র লাইব্রেরিতে বই পড়ি, বঙ্কিমের উপন্যাস, মাইকেলের মেঘনাদবধ কাব্য, নজরুলের ব্যাথার দান থেকে শুরু করে যতো বই পড়ার দীর্ঘদিনের সুপ্ত ইচ্ছে ছিলো তা উপভোগ করতে থাকি। কিন্তু বেকার নামক নতুন উপাধিতে ভূষিত হতে হয় যেখানেই যাই সেখানেই, ব্যাপারটা প্রথম প্রথম আমলে না নিলেও দুই তিন মাস যেতে না যেতেই বন্ধুরা ধীরে ধীরে বিভিন্ন চাকুরীতে প্রবেশ করতে থাকে। জুনিয়ররা প্রশ্ন শুরু করে ভাই- কোথায় চাকুরিতে ঢুকেছেন? এসব পাত্তা না দিয়ে গ্রামে চলে যাই। দাদীর হাতে মজার মজার রান্না খাই আর সারাদিন বসে শুয়ে বই পড়ি, ডায়েরী লিখি, কাব্য চর্চার চেষ্টা করি!

তবে অধিকাংশ বন্ধুরা বেকারত্ব থেকে মুক্তি নিয়ে যখন বিভিন্ন আকর্ষণীয় চাকুরীতে প্রবেশ করে ফেল্ল তখন নিজেকে বড্ড একাকী অনুভব করতে থাকলাম। যেহেতু ছাত্র জীবন শেষ, বাবার কাছ থেকে হাত পেতে টাকা নিতেও সম্মানে বাঁধতে আরম্ভ করলো। কোন কোনদিন মাত্র পাঁচ টাকা পকেটে নিয়ে ঘুরতে হয়েছে খুলনা শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা তবুও বাবার কাছে টাকা চাইতে পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে পড়ে বেকারত্ব উদযাপনের শখ থেকে বের হয়ে আসার তাগিদ অনুভব করছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ফলাফল তেমন ভালো না হলেও স্কুল ও কলেজ জীবনে পারিবারিক ও আত্মীয় মহলে ভালো ছাত্র হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলাম। সেই সুবাদে পরিবারের কেউ কেউ যারা সরকারি চাকুরিতে ছিলেন ও সুহৃদ ব্যক্তিবর্গ পরামর্শ দিতে থাকলেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য।

কিন্তু বরাবরই আমার ভিতর সরকারি চাকুরীর ঘুষ দুর্নীতির ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব থাকায় বেসরকারি চাকুরির প্রতি বেশি আগ্রহী ছিলাম। সেই আগ্রহের কারনেই জীবনের প্রথম চাকুরী পেয়ে গেলাম বাংলাদেশের তথা পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকে। ১৯৯৮ সালের ২৪ মে তারিখে খুলনার রূপসা উপজেলার কাজদিয়া এলাকা অফিসে প্রোগ্রাম অফিসার (ফিসারিজ) হিসেবে যোগদান করলাম। আমার জীবনের প্রথম চাকুরির বেতন তৎকালীন সমপর্যায়ের প্রথম সরকারি শ্রেণীর কর্মকর্তার বেতনের প্রায় তিনগুণ ছিলো! হাফ ছেঁড়ে বাঁচলাম এই ভেবে যে ঘুষ খাওয়ার প্রয়োজন হবে না জীবনে, কারণ বেতনের পরিমাণটা আমার প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলো। সৎ জীবন যাপন করতে দেখেছি আমার পিতাসহ অনেক পরিচিতজন বা আত্মীয়দের।

স্কুল জীবনে আমাদের গ্রামের ঘরে আমি কিছু প্রখ্যাত মানুষদের ছবি বাঁধিয়ে দেয়ালে ঝুলিয়ে রেখেছিলাম। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, নেতাজি সুভাষ বোসদের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবিও ছিলো। তখন ১৯৮২ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত এরশাদ আমল হলেও শেখ মুজিবের নাম বা ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের জানার সুযোগ একদমই ছিলো না বলা যায়। তাই পোস্টার হিসেবে শেখ মুজিবের ছবি বাজারে পাওয়া যেতো বলে আমার মনে হয় না। যাই হোক, আমাদের ঘরে টানানো জিয়াউর রহমানের ছবির নীচে ইংরেজিতে একটা বাক্য লেখা ছিলো “Honesty is the best policy”। কেননা তখন বিএনপি এর পক্ষ থেকে মেজর জিয়াকে খাল খনন কর্মসূচীর নায়ক এবং শতভাগ সৎ হিসেবে প্রমাণের জন্য সামরিক অভ্যূত্থানে মৃত্যুকালীন সুটকেসে ছেড়া গেঞ্জি পাওয়ার তত্ত্ব বেশ জোরেশোরে প্রচার করা হতো। স্বাভাবিকভাবে আমাদের পরিবারে কেউ সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত না থাকায় মুজিব বা জিয়া নিয়ে কোন পক্ষপাতিত্ব ছিলো না। তবুও জিয়ার ছবির নীচের ইংরেজি সেই বাক্যটিকে আমি আমার জীবনের অন্যতম আদর্শের পথ দ্রষ্টা হিসেবে গ্রহণ করেছিলাম সেই শৈশবের অপরিপক্ক চেতনা থেকেই।

সৎ থাকা ও মিথ্যা না বলা আমার জীবনের অন্যতম ব্রত। সততার লোভে সরকারি চাকুরির ঘুষের কারবারিতে সামিল হবার প্রবল ইচ্ছে কখনো হয়নি। আমার পিতৃ ও মাতৃকূলের অধিকাংশ চাকুরীজীবিগণ ছিলেন সৎ শিক্ষক, ছোট চাকুরে, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের মাঝারি বা উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা। আমার মামারা সবাই খুব হাই প্রোফাইল চাকরি জগতে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন যেমন বড় মামা সরকারের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল, মেজো মামা অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক (১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রতি প্রথম আনুগত্য প্রদর্শনকারী কূটনীতিকদের একজন), সেজো মামা কাস্টমস ক্যাডারের চাকুরী থেকে ইস্তফা দিয়ে ইনকাম ট্যাক্স ওকালতির সাথে যুক্ত ছিলেন, এক মামা ফিলিপ্স কোম্পানীর ডাইরেক্টর এবং সবচেয়ে ছোট মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক। এমন হাই প্রোফাইল মামাদের ভাগ্যবান ভাগ্নে হিসেবে তাই সরকারি চাকরি করাটা যেন আমার জন্য অত্যাবশকীয় ছিলো। ঐ যে কথায় আছে না “মামার জোরে চাকরি পাওয়া”?

১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আমলে আমার চাকুরী জীবন আরম্ভ হলো। চাকরির সুবাদে বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন ধরণের মানুষের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পেলাম। সরকারি বিভিন্ন অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন থেকে অথবা পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের কেউ কেউ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকায় ধীরে ধীরে এদেশের সাধারণ মানুষের আচরণ সম্পর্কে নিত্য নতুন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হতে থাকলাম। ব্রাকে যোগদানের পূর্বেই একটি আকর্ষনীয় সরকারি চাকুরির (প্রকল্প ভিত্তিক) চূড়ান্ত নিয়োগ পরীক্ষা ও ভাইবায় অংশগ্রহণ করেছিলাম।  ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউট এর একটি প্রকল্প ভিত্তিক চাকরির নিয়োগপত্র দেয়া হলো যার মূল বেতন স্কেল মাত্র ২৮৫০ টাকা! বেতনের এমন করুন হাল হলেও পদের নামটা বেশ ওজনদার বটে, “বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা”। বিজ্ঞানী হবার নেশায় হোক আর পারিবারিক ইচ্ছের বলী হয়ে হোক ব্রাক ছেঁড়ে ১৯৯৮ সালের ৮ জুলাই তারিখে আমি সেই চির অপছন্দের সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলাম খুলনার পাইকগাছায়।

(চলবে)

লেখা: পল্লব খন্দকার

সত্ত্ব: দৈনিক আলোকবর্তিকা। 

Please Share This Post in Your Social Media

2 responses to “সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ: ১৯৯০ সাল থেকে আমার দেখা চরিত্রহীন জাতীয় রাজনীতি (একাদশ পর্ব)”

  1. Ali Aslam says:

    I found the real smell in your writing. No preservative is added here. Thank you for that.

    • মাযহাব says:

      প্রিয় পাঠক, সেরা মন্তব্য হিসেবে গৃহীত হলো। ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

https://www.moralparenting.org/

Categories

© All rights reserved © 2023 দৈনিক আলোকবর্তিকা
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই